বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারা দেশে শিশু অধিকার সপ্তাহ শুরু হয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘প্রতিটি শিশুর অধিকার, রক্ষা আমাদের অঙ্গীকার’। রোববার বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মিলনায়তনে শিশু অধিকার সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শিশু নিহত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিশুদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তার কখনো মাফ হয় না। কিন্তু আমাদের শিশুরা যে সাহস দেখিয়েছে, তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আমাদের বাংলাদেশ হতে হবে শিশুদের জন্য। পাড়ায় পাড়ায় খেলার মাঠ থাকবে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের অভিভাবকদের চিন্তিত হতে হবে না।’
অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, তাঁরা যেন অন্যায়, অপরাধের প্রতিবাদ করেন এবং তাঁদের ছেলেমেয়েদের অসংগতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে শেখান। একটা ভেঙে পড়া সমাজ গঠনে সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, এবারের শিশু অধিকার সপ্তাহ জুলাই বিপ্লবে নিহত শিশুদের উৎসর্গ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক তানিয়া খান বলেন, শিশু একাডেমি দুর্বৃত্তদের দ্বারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিশু একাডেমি নতুন করে শুরু করতে পেরে আনন্দিত। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে শিশুদের বিকাশে ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি।
সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক আবদুল্লা আল মামুন বলেন, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পৃথক শিশুবিষয়ক অধিদপ্তর গঠন করা না হলে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার রক্ষা কঠিন হয়ে যাবে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শিশুদের জন্য একটি মধ্যমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা করার সুপারিশ করেন তিনি।
শিশুর অধিকার, সুরক্ষা এবং শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অধিকতর উদ্যোগী ও সচেতন করার লক্ষ্যে এ বছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পালন করা হচ্ছে শিশু অধিকার সপ্তাহ। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস পালন করে থাকে।